এবার দুর্গা পুজোতে সর্বভারতীয় সভাপতির উপর আস্থা রাখতে চলেছে বঙ্গ বিজেপি। সব কিছু ঠিক থাকলে মহালয়ার পরই হয়তো রাজ্যে আসবেন বিজেপি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সূত্রের খবর, সংঘশ্রীর বদলে ফ্রেণ্ডস উইনিয়ন অমিত শাহকে পুজো উদ্বোধনে অনুরোধ জানিয়েছে। শুধু তাই নয়, ট্রায়াঙ্গুলার পার্ক থেকে গত শনিবার অমিত শাহকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে বলে বিজেপি সূত্রে খবর। ওই পুজো কমিটির এবছর ৫৭ তম বর্ষ। এবারে অমিত শাহকে কমিটির পক্ষ থেকে প্রধান অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। যদিও বঙ্গ বিজেপির পক্ষ থেকে অফিসিয়ালি এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই কালীঘাটের সংঘশ্রী ক্লাবের খুঁটি পুজোয় বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুকে প্রধান অতিথি করা নিয়ে ক্লাবের সদস্যদের মধ্যে ব্যাপক গণ্ডগোল বাঁধে। পরবর্তীকালে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব সেই পুজো কমিটি পুনর্দখল নেয়। একইভারে রাসবিহারী সংলগ্ন একটি পুজো কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিজেপি নেতা অজয় অগ্নিহোত্রী কথা বলতে গেলে তাঁকে শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ ওঠে। পরে তাঁকে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। এরপরই বিজেপি নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেয়, কোনও নেতা-নেত্রীকে পুজোয় আমন্ত্রণ জানাতে হলে সেই পুজো কমিটির প্যাডে লিখিতভাবে আমন্ত্রণপত্র রাজ্য দফতরে জমা দিতে হবে।  

অন্যদিকে, কলকাতায় এসে রাজ্যে এনআরসি হবেই বলে মন্তব্য করেছিলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তার ঠিক ২৪ ঘন্টার পরে দিল্লিতেও একই কথা বলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এনআরসি রুখতে মুখ্যমন্ত্রীর পথে নামার প্রসঙ্গকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর পুরনো অভ্যাস আছে কিছু হলেই রাস্তায় নেমে পড়া। বাড়ি থাকতে পারেন না। সেই অভ্যাস বজায় রাখতেই তিনি রাস্তায় নামছেন। ২০২১ সালের পরে তো রাস্তাতেই নামতে হবে। তবে যে-ই রাস্তায় নামুক, পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি হবেই।’’



మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: