আগামী ১৯ শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে টানটান কূটনৈতিক যুদ্ধ চলবে। যদিও বিদেশমন্ত্রক দাবী করছে সেই যুদ্ধে পাকিস্তানের জয়ের কোন সম্ভাবনাই নেই।

জেনিভায় রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কাউন্সিলের চলতি অধিবেশনে পাকিস্তান মরিয়া লড়াই চালাচ্ছে কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগটির উপরে আন্তর্জাতিক সিলমোহর লাগাতে। অন্য দিকে ইমরান সরকারের পরিকল্পনাকে ভোঁতা করে দেওয়ার জন্য এই কাউন্সিলভুক্ত ৪৫টি দেশের সঙ্গে (আর দু’টি দেশ ভারত এবং পাকিস্তান) লাগাতার দৌত্য চালিয়ে যাচ্ছে নয়াদিল্লি। ২৭ তারিখ পর্যন্ত কাউন্সিলের অধিবেশেন চলবে ঠিকই, কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী ১৯ তারিখ এই নিয়ে প্রস্তাব পাশ করানোর সময়সীমা শেষ হয়ে যাচ্ছে।  

 সূত্রের খবর, পাকিস্তান তিনটি দাবি নিয়ে এগোচ্ছে। এক, কাশ্মীর নিয়ে বিশেষ অধিবেশন, দুই কাশ্মীরের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে একটি প্রস্তাব গ্রহণ, তিন, জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক ডাকা। এই লক্ষ্যে দু’দিন আগে পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি বিবৃতি দিয়েছেন। তার পরে ওআইসি-ভুক্ত দেশগুলির কাছে আবেদন করেছেন। গতকাল ৫৮টি দেশের হয়ে একটি যৌথ বিবৃতি কাউন্সিলের হাতে তুলে দিয়েছে পাক সরকার। প্রশ্ন হল, রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কাউন্সিলে রয়েছে ৪৭টি দেশ। অর্থাৎ কাশ্মীর নিয়ে প্রস্তাব আনতে মরিয়া পাকিস্তান কথা বলেছে বাইরের দেশগুলির সঙ্গেও। তবে কোন কোন দেশ এই যৌথ বিবৃতিতে রয়েছে, তার উল্লেখ না থাকায় গোটা বিষয়টিই লঘু হয়ে গিয়েছে বলে মনে করছে সাউথ ব্লক।  

ভারত পাকিস্তানকে প্রতিহত করার জন্য সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করছে। এর পরেই রয়েছে বৃহত্তম আন্তর্জাতিক মঞ্চ রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার অধিবেশন। মানবাধিকার কাউন্সিল যদি কাশ্মীর থেকে ৩৭০ প্রত্যাহার বা মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টিকে আমল না দেয়, তা হলে সাধারণ অধিবেশনে ভারতের লড়াইটা অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। আজ বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেন, ‘‘যে দেশ নিজেরাই জাতি ও ধর্মভিত্তিক সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন করে আসছে, তারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা তোলে কোন মুখে?’’

 


మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: