ভারতীয় ক্রিকেটারদের সংস্কার বলুন আর কুসংস্কার, তার তালিকা কিন্তু বেশ লম্বা। সচিন তেন্ডুলকর খেলতে নামার সময়ে বাঁ পায়ের প্যাড আগে বাঁধতেন। মহেন্দ্র সিংহ ধোনি সাত নম্বর জার্সি ছাড়া পরেন না। মহম্মদ আজ়হারউদ্দিনের সব লাক নাকি তাঁর তাবিজেই আটকে আছে। কিন্তু তাই বলে কি প্রতিভা ও পরিশ্রম ভাগ্যের থেকে কিছু কম যায়? ‘দ্য জ়োয়া ফ্যাক্টর’ ছবির মূল বক্তব্য এই বিষয়টিই।

খুব কম পরিচালকই পারেন, সাদামাঠা গল্পকে পরিবেশনের ঢঙে উপাদেয় করে তুলতে। কিন্তু পরিচালক অভিষেক শর্মার প্রথম ছবি ‘তেরে বিন লাদেন’-এ যে এক্স ফ্যাক্টর কাজ করেছিল, তা ‘দ্য জ়োয়া ফ্যাক্টর’-এ মিসিং। ফলে নতুন কিছু দেখাতে পারেনি ছবিটি। অনুজা চৌহানের ‘চিক-লিট’ থেকে তৈরি ছবিটি যে কারণে নেহাতই ‘আই ক্যান্ডি’ হয়েই থেকে যায়।

 ব্যাড লাক যার সর্বক্ষণের সঙ্গী সেই জ়োয়া (সোনম কপূর) ঘটনাচক্রে ভারতীয় ক্রিকেট দলের লাকি চার্ম হয়ে যায়। ক্রিকেট টিমের সঙ্গে সে ব্রেকফাস্ট করলে বা ম্যাচ দেখলে, সব সঙ্কট পার করে দল জিতে যায়। এক শব্দে বললে, জ়োয়া অঘটনঘটনপটিয়সী! এর মধ্যে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নিখিল খোডার (দুলকির সলমন) সঙ্গে জ়োয়ার প্রেমের মতো ঘটনাও ঘটে যায়। গোটা ছবিতে ভাল লাগার মতো জায়গা বলতে এটাই। তার মূল কারণ অবশ্যই দুলকিরের সহজাত স্মার্টনেস। জাতীয় দলের অধিনায়কের সঙ্গে সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ের (সোনমের বাড়ি ও পোশাক দেখে যা বোঝা যায় না) প্রেম হয়তো খুব স্বাভাবিক নয়। কিন্তু রূপকথা তো বাস্তবেও ফলে যায়। 

ভারতীয় ক্রিকেট দলের ক্যাপ্টেনের পদ প্রধানমন্ত্রিত্বের চেয়ে কম কঠিন নয়। দলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিটাও ছুঁয়ে গিয়েছেন পরিচালক। কিন্তু ভাগ্য নাকি পরিশ্রম— গোটা ছবিটা যে দ্বন্দ্বের উপরে দাঁড়িয়ে, সেই জায়গারই বুনন খুব দুর্বল। অঙ্গদ বেদীর পরিমিত ভিলেনগিরিও তা জমাতে পারে না। ছবির শেষটাও আগাম আঁচ করে নেওয়া যায়। 

সোনমকে প্রথম থেকেই ভালো মানায় একটু কনফিউসড আহ্লাদী চরিত্রে, কাজেই এখানে তিনি জোয়ার চরিত্রে ভালভাবেই উতরে গিয়েছেন।

 

 


మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: