বহু প্রতীক্ষিত বর্ধমানের চতুর্মুখী রেলওয়ে ওভারব্রীজের উদ্বোধন কে ঘিরে সোমবার কেন্দ্র রাজ্য সংঘাত একপ্রকার চরমে উঠলো। সোমবার সন্ধ্যায় বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া জানান, মঙ্গলবার চতুর্মুখী এই রেলওয়ে ওভারব্রীজের উদ্বোধন করবেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।উদ্বোধন অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ।সোমবার সন্ধ্যায় পঞ্চায়েত মন্ত্রীর পক্ষ থেকে সবুজ সংকেত পাবার পরই জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, জেলাশাসক বিজয় ভারতী, জেলা পুলিশ সুপার সহ জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা চতুর্মুখী রেলওয়ে ওভারব্রীজের শেষ মূহূর্তের পরিদর্শনও করেন। অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর পুজোর আগেই নবনির্মিত বর্ধমান রেলওয়ে ওভারব্রীজের উদ্বোধনের খবরে খুশির জোয়ার বইতে শুরু করে বর্ধমানবাসীর মধ্যে।
 
যদিও এব্যাপারে বর্ধমান ষ্টেশনের ষ্টেশন ম্যানেজার স্বপন অধিকারী জানিয়েছেন, এব্যাপারে রেল দপ্তরের পক্ষ থেকে তাঁর কাছে কোনো খবর নেই। মঙ্গলবার রেলওয়ে ওভারব্রীজ উদ্বোধনের বিষয়ে তাঁদের কিছুই জানানো হয়নি। এমনকি পূর্ব রেলওয়ের পিআরও (পাবলিসিটি রিলেশন অফিসার ) অমিতাভ চ্যাটার্জ্জীও জানিয়েছেন, বর্ধমানের রেলওয়ে ওভারব্রীজ উদ্বোধনের বিষয়ে তাঁদের কাছে কোনোরকমই খবর নেই। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের উদ্বোধনের প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এটাও তাঁর কিছু জানা নেই। 
কিন্তু এর কিছুক্ষণ পরেই রেল দপ্তরের পক্ষ থেকে প্রেস রিলিজ করে জানিয়ে দেওয়া হয় আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর এই রেলওয়ে ওভারব্রীজের উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী। সেই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন রাজ্যের বিশিষ্ট অতিথিরাও। আর এরপরেই ব্যাপক আলোড়ন শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে যেখানে কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ উদ্যোগে এই ব্রীজ তৈরী হল, সেখানে হঠাত করেই রাজ্য সরকার আগবাড়িয়ে কেন এ্যাপ্রোচ রোডের উদ্বোধন করতে গেল? তাহলে কি এই রেলওয়ে ওভারব্রীজ উদ্বোধনকে ঘিরে কেন্দ্র রাজ্য সংঘাত বাধল? বস্তুত, বেশ কিছুদিন ধরেই বাতাসে ভাসছিল ওই ওভারব্রীজের উদ্বোধন কেন্দ্র সরকার রেলমন্ত্রীকে দিয়ে করাতে চায়। কিন্তু রাজ্য সরকারও তড়িঘড়ি ব্রীজের উদ্বোধন করতে চায়। ফলত, সেই বাতাসে ঘোরা আলোচনাই এদিন প্রকট হয়ে উঠল।


మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: