৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকে অনেকদিন পেরিয়ে গেলেও এখনো জারি রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। শ্রীনগরের হোমে এখনও বন্দি রয়েছে ১৭ জন নাবালক। তাদের অনেকেরই বয়স ১২ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে।

উপত্যকায় নিষেধাজ্ঞার মধ্যে বহু নাবালককে অবৈধ ভাবে আটক করার অভিযোগ ওঠে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের বিরুদ্ধে। তা নিয়ে জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। পরে শীর্ষ আদালতের নির্দেশে জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্টের নাবালক বিচার কমিটি এ নিয়ে রিপোর্ট জমা দেয়। কমিটি জানায়, নিষেধাজ্ঞার কাশ্মীরে মোট ১৪৪ জন নাবালককে আটক করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ১৪২ জন পরে ছাড়া পেয়েছে। কমিটি আরও জানায়, শ্রীনগরের হোমে বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত ৩৯ জন নাবালক রয়েছে। জম্মুর আর এস পুরার হোমে রয়েছে এমন ১০ জন নাবালক।

সম্প্রতি হাইকোর্টের নাবালক বিচার কমিটিকে লেখা চিঠিতে জম্মু-কাশ্মীর শিশু অধিকার রক্ষা সমিতির অধিকর্তা তারিক আলি মির জানান, শ্রীনগরের হোমে এখনও ১৭ জন নাবালক রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। আর এস পুরার হোমে বন্দি নাবালকের সংখ্যা এখন ৪। তারিক আরও জানিয়েছেন, শ্রীনগরের হোমে থাকা নাবালকদের অধিকাংশের বয়স ১২ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। তাদের অনেকেই দক্ষিণ কাশ্মীরের বাসিন্দা। তবে শ্রীনগর, বদগাম ও সোপোরের বাসিন্দারাও আছে। 

এখনো পর্যন্ত নাবালক বিচার কমিটি যা রিপোর্ট দিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে  জন সুরক্ষা আইনে বন্দি নাবালকদের পরিজনেরা সশরীর হাজির করানোর মামলা করছেন। হাইকোর্ট বন্দিরা নাবালক কি না তা পরীক্ষার নির্দেশ দিচ্ছে। সেই পরীক্ষা করতেও নির্দিষ্ট সময় লাগে। ফলে অনেকেরই বিচার পেতে দেরি হচ্ছে। গত সপ্তাহে জন সুরক্ষা আইনে বন্দি বারো জন নাবালকের আত্মীয়েরা জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্টে সশরীর হাজির করানোর মামলা করেছেন।

 


మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: