আবারও নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে ব্যাপক গোলাবৃষ্টি করল পাক সেনা। জম্মুর কুপওয়াড়া জেলার তাংধার সেক্টরে রবিবার ভোর রাতে থেকে পাক গোলাগুলিতে নিহত দুই সেনা জওয়ান ও একজন সাধারণ নাগরিক। আহত আরও তিন জওয়ান ও ৫ গ্রামবাসী। পাক গোলায় ক্ষতিগ্রস্ত অন্তত ৬টি বাড়ি। পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনাও।

সেনা সূত্রে খবর, রবিবার ভোর রাত থেকে তাংধার সেক্টরে বিনা প্ররোচনায় গোলাবর্ষণ শুরু করে পাক সেনা। তাতে দুই সেনা জওয়ান এবং এক গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়। আহত হন আরও আট জন। এ ছাড়া একটি বাড়ি, একটি চালের গোডাউন। দু’টি গাড়ি ও একটি গোশালা ধ্বংস হয়ে যায়।ওই গোশালায় ১৯টি গরু ও একাধিক ভেড়ার মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে চিত্রকূট গ্রামে। পাক গোলায় কয়েকটি বাড়ি কার্যত ধুলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। শেল-মর্টারে সব মিলিয়ে মোট ক্ষতিগ্রস্ত ছ’টি বাড়ি। ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কিত এলাকাবাসী।

এর পরই পাল্টা জবাব দিতে শুরু করে ভারতীয় সেনা। সেনার তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘‘তাংধার সেক্টরে দুই জওয়ান ও এক সাধারণ নাগরিকের মৃত্যুর পর ভারতীয় সেনার জবাবি গোলাবর্ষণে পাকিস্তানেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’’

তাংধারের পাশাপশি কাঠুয়ার হীরানগর সেক্টরেও পাক সেনা গোলাবর্ষণ চালায় বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনা। তাতেও কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে প্রাণহানির খবর নেই। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, ‘‘ব্যাপক গোলাবর্ষণে বাড়িঘরের ক্ষতি হয়েছে। তবে আমরা ভাগ্যবান যে সেই সময় প্রায় সবাই ঘুমোচ্ছিলাম। বাড়ির বাইরে কেউ না থাকায় প্রাণহানি হয়নি।’’

শুধু তাই নয়, গত সপ্তাহেও বারামুলা ও রাজৌরি সেক্টরে দু’টি পৃথক অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনায় পাক সেনার গুলিতে দুই সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল। ৫ অগস্ট জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ করে বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়ার পর থেকেই নিয়ন্ত্রণরেখায় অস্ত্রবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের ঘটনা বাড়িয়ে চলেছে পাক সেনা। বিশেষ করে বেড়ে গিয়েছে সাধারণ নাগরিকদের লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ।

 


మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: