মানসিকভাবে প্রস্তুতি ছিলই শিবম দুবের,কারন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা যে কোনও ম্যাচে করতে হতে পারে পুরো চার ওভার। ফলে, রবিবার নাগপুরে ভারত পাঁচ বিশেষজ্ঞ বোলারে খেললেও চাপে পড়েননি মুম্বইয়ের অলরাউন্ডার।

অলরাউন্ডার শিবমের পরিচিতি বেশি তাঁর ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিংয়ের জন্য। আর তাই নাগপুরে ভারত ক্রুণাল পান্ড্যকে বাদ দিয়ে মণীশ পাণ্ডেকে খেলানোয় অবাক হয়ে গিয়েছিল ক্রিকেটমহল। কারণ, বোলার হিসেবে শিবম দুবে কেমন, তা নিয়ে ছিল সংশয়। আর সেই কারণেই দীপক চাহারের  ছয় উইকেটের পাশাপাশি বোলার শিবমও কৃতিত্বের ভাগিদার হচ্ছেন। চার ওভারে ৩০ রানের বিনিময়ে তিনি যদি তিন উইকেট না নিতেন, তা হলে ভারত জিতত কি না, নিশ্চিত হতে পারছেন না সমর্থকরাও।

শিবম বলেছেন, “রোহিত ভাই সিরিজ শুরুর আগেই আমাকে বলেছিল যে কোনও একটা ম্যাচে পুরো চার ওভার হাত ঘোরানোর জন্য তৈরি থাকতে। তাই মানসিক ভাবে তৈরি ছিলাম। নাগপুরে রোহিত ভাই এসে বলল, বেশি যেন না ভাবি। খোলা মনে যেন বল করি। জানিয়েছিল ও পাশেই থাকছে। আমি যেন নিজের শক্তি অনুসারে বল করি, সেই নির্দেশ দিয়েছিল।”

 

তাঁর নিজের ভাবনা কী ছিল, সেটাও বলেছেন শিবম। জানিয়েছেন, “রান দেব না, এটাই আমার প্রধান লক্ষ্য ছিল। কিন্তু শুরুতে রান ঠিক বেরিয়ে যাচ্ছিল। তখন নিজেকেই বলেছিলাম যে শক্তি অনুসারে বল করব। মহম্মদ নইম যদি ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে আসে মারার জন্য, তা হলে ইয়র্কার দেব, ঠিক করেছিলাম। মনে হচ্ছিল ও এগিয়ে এসে মারবে। খেলা শেষের পর সবাই প্রশংসা করেছিল। বলেছিল, ভাল বোলার হয়ে ওঠার মশলা আমার রয়েছে। বিশেষ করে ইয়র্কার যে ভাবে ব্যবহার করেছি, সেটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল।”

পরের বছর অস্ট্রেলিয়ায় বসছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। সেই লক্ষ্যেই পরীক্ষা-নিরীক্ষার পথে হাঁটছে  ভারত। শিবমের টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক সেই কারণেই। তবে তিনি নিজের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট নন। শিবম বলেছেন, “সিরিজ জিতেছি বলে খুশি। কিন্তু সন্তুষ্ট নই। কারণ, আমার পারফরম্যান্স আরও ভাল হতে পারত। তবে এটা শেখার প্রক্রিয়া। প্রত্যেক ম্যাচেই আগের চেয়ে ভাল করার চেষ্টা থাকে। আর দেশের হয়ে খেললে প্রত্যাশা থাকবেই। সেটাই চাপ। তবে সাপোর্ট স্টাফরা নিশ্চিত করেছিলেন যে আমি যেন চাপে পড়ে না যাই। রবি শাস্ত্রী বলেছিলেন, টেনশন না করতে, নিজের খেলা খেলতে।”

কিন্তু যে বিগহিটিংয়ের জন্য তাঁর পরিচিতি, সেই বড় শটই তো দেখা গেল না তাঁর থেকে। আক্ষেপ রয়েছে শিবমেরও। তাঁর কথায়, “দলের প্রত্যেকে আমার সম্পর্কে জানে। অতীতে আমি কী করেছি, সেটাও ওদের জানা। আর আমার থেকে সেটাই যে চাওয়া হবে, এটাই স্বাভাবিক। তবে আমি সবে শুরু করলাম। উন্নতির চেষ্টা থাকবে। বোলিং ভাল করেছি। পরের বার ব্যাট হাতেও নিজেকে মেলে ধরতে চাইব।” এখন অবশ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরছেন তিনি। মুম্বইয়ের হয়ে খেলবেন সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে।

 

 


మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: