রোহিত শর্মা আউট হওয়ার পর ক্রিজে এসেছিলেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। কিন্তু প্রথম দিকে টাইমিং ঠিকঠাক হচ্ছিল না। নিজেই নিজের প্রতি বিরক্ত হচ্ছিলেন ভারত অধিনায়ক। তারপর পেলার্ড-উইলিয়ামসদের স্লেজিং চলছিল। তবে সেই ফাঁদে পা দেননি তিনি। ক্রিজে সময় যত কাটিয়েছেন ততই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিলেন। আর শেষে বিশ্ব ক্রিকেট দেখল বিধ্বংসী কোহলিকে। একের পর এক কব্জির ভেলকিতে দর্শকদের ক্যাচ প্র্যাক্টিস করালেন ‘চেজ মাস্টার’ বিরাট কেহলি। বিরাটের ৫০ বলে ৯৪ নট আউটের সৌজন্যে ক্যারিবিয়ানদের রানের পাহাড় টপকে ৮ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নিল টিম ইন্ডিয়া।

 

 

শুক্রবার টস জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন বিরাট কোহালি। রান তাড়া করতে দক্ষ ভারত। সেই কারণেই টস জিতে ক্যারিবিয়ানদের ব্যাট করতে পাঠানো হয়েছিল। শুরুতেই ধাক্কা দিয়েছিলেন দীপক চহার। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে স্বপ্নের স্পেল করেছিলেন তিনি। সাত রানে ছ’টি উইকেট নিয়ে হারা ম্যাচ জিতিয়েছিলেন ভারতকে। সেই চহার এদিন শুরুটা দারুণ করেছিলেন। দ্বিতীয় বলেই লেন্ডল সিমন্সকে (২) ফেরান চহার। শুরুতেই উইকেট চলে যাওয়ার পরেও চাপ অনুভব করেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটসম্যানরা। পাল্টা আক্রমণের রাস্তা নেন তাঁরা। শুরুটা করেন লিউইস। ৪০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে ফেরেন তিনি। রবীন্দ্র জাডেজার বলে স্টাম্পড হন কিং (৩১)। এর পরে হেটমায়ার ও পোলার্ড ক্যারিবিয়ান ইনিংসকে টেনে নিয়ে যান। দু’ জনেই ভারতীয় বোলারদের যথেচ্ছ মারেন। হেটমায়ার ৪১ বলে ৫৬ রান করেন। তাঁর ইনিংসে সাজানো ছিল ২টি বাউন্ডারি ও ৪টি ওভার বাউন্ডারি। অন্যদিকে পোলার্ড ১৯ বলে দ্রুতলয়ে ৩৭ রান করেন। একটি চার ও বিশাল চারটি ছক্কা হাঁকান পোলার্ড। শেষের দিকে হোল্ডার (৯ বলে ২৪ রান) ও রামদিন (৭ বলে ১১ রান) জ্বলে ওঠায় ২০ ওভারের শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ করে ৫ উইকেটে ২০৭ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে রোহিত শর্মা (৮) দ্রুত ফিরে যান। ভারতের ইনিংস গোছানোর কাজ করেন কোহালি ও লোকেশ রাহুল। ভারতের ভিত গড়ে দেন রাহুলই (৬২)। তারপর বাকি কাজ শেষ করেন বিরাট আর শিবম মিলে। তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেল ভারত।

 

(এই প্রতিবেদনের ছবি ICC-র ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া)

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: