What a come back. ফিরে আসা বোধহয় একেই বলে। প্রথম ম্যাচে ১০ উইকেটে হেরে মরণ বাঁচন ম্যাচে রানের পাহাড় টপকানোর টার্গেট অস্ট্রেলিয়াকে দিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। আর সেই ম্যাচ ৩৬ রানে জিতে সিরিজে সমতা ফেরাল বিরাট কোহলি বাহিনী। 

 

শুক্রবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রোহিত শর্মা ও শিখর ধওয়নের ব্যাটে বড় রানের ভিত গড়েছিল ভারত। প্রথম পাওয়ারপ্লে-র ১০ ওভারে বিনা উইকেটে ৫৫ রান তুলেছিলেন দু’ জনে। কিন্তু বেশিক্ষণ থাকেননি ‘হিটম্যান’। ছয়টি চার-সহ ৪৪ বলে ৪২ করে অ্যাডাম জাম্পার বলে হলেন এলবিডব্লিউ। রিভিউ নিয়েও রক্ষা পাননি তিনি। ধাওয়ান কেন রিচার্ডসনের বলে ৯৬ রানে ফাইন-লেগে সহজ ক্যাচ দেন মিচেল স্টার্ককে। ৯০ বলের ইনিংসে মারেন ১৩টি চার ও একটি ছয়। বিরাটের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ধওয়ন যোগ করেন ১০৩ রান। তার আগে মুম্বইয়ের পর রাজকোটেও টানা দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরি করেন শিখর ধওয়ন।

 

৫০ বলে পৌঁছেছিলেন পঞ্চাশে। কিন্তু ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে সীমানায় ক্যাচ দিয়ে আউট হন ৭৮ রানে। ফের অ্যাডাম জাম্পার শিকার হন কোহলি। শ্রেয়াস এবং মণীশ দু’জনেই এদিন ব্যর্থ হন। তবে পাঁচে নামা লোকেশ রাহুল অবশ্য আগ্রাসী ইনিংস উপহার দিলেন। ৩৮ বলে পৌঁছন পঞ্চাশে। শেষ ওভারে হন রান আউট। ৫২ বলে ৮০ রানের ইনিংসে মারেন ছয়টি চার ও তিনটি ছয়। একদিনের ক্রিকেটে হাজার রান পেরিয়ে গেলেন তিনি। এরই সুবাদে ৩৪১ রানের টার্গেট দেয় ভারত। রান তাড়া করতে নেমে বিপজ্জনক ওয়ার্নারকে মাত্র ১৫ রানে ফেরান মহম্মদ শামি। এ দিন স্মিথ খেললেন ৯৮ রানের দুরন্ত ইনিংস। সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন স্মিথ। কুলদীপের বলে বোল্ড হন তিনি। স্মিথের আগে অবশ্য আউট হন লাবুশানে (৪৬)। আগের ভারত সফরে মোহালিতে টার্নার একা ম্যাচ জিতিয়েছিলেন। এ দিন পর পর দু’ বলে শামি ফেরান টার্নার ও কামিন্সকে। হ্যাটট্রিক অবশ্য করতে পারেননি। ৩০৪ রানে ৪৯.১ ওভারে শেষ হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: