শামি-বুমরার বিধ্বংসী বোলিং আর রোহিত-বিরাটে রান চেসিং ইনিংসে অস্ট্রেলিয়াকে ৭ উইকেট হারিয়ে ওয়ান ডে সিরিজ জিতে নিলে টিম ইন্ডিয়া। 

 

এদিন রান তাড়া করতে নেমে প্রথমেই রাহুলের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ভারত। তারপর রোহিত-বিরাটের ম্যাচ উইনিং পার্টনারশিপ ভারতকে ম্যাচে ফেরায়। অন্যদিকে, ডু অর ডাই ম্যাচে অপ্রতিরোধ্য রোহিত শর্মা। ১১৯ রানে অসাধারণ ইনিংস খেলে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজের শেষ ম্যাচে ভারতকে জয়ের দোরগড়ায় দাঁড় করিয়ে দেন হিটমযান রোহিত শর্মা। সেই সঙ্গে করলেন আরও একটি রেকর্ড। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে পেছনে ফেলে তিনি তৃতীয় দ্রুততম হিসেবে একদিনের ক্রিকেটে ৯,০০০ রান পূর্ণ করেছেন তিনি। ২১৭ ইনিংস খেলে ৯০০০ একদিনের রানের মালিক হন তিনি। সৌরভ এই কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন ২২৮ ইনিংস খেলে। সবচেয়ে কম ১৯৪ ইনিংসে দ্রুততম ৯০০০ ODI রানের রেকর্ড করেন বিরাট। এই এলিট লিস্টে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডিভিলিয়ার্স (২০৫ ইনিংস)। সচিন তেন্ডুলকরের লেগেছিল ২৩৫ ইনিংস, ব্রায়ান লারার লাগে ২৩৯ ইনিংস। এ ছাড়াও মহম্মদ আজহারউদ্দিন, সচিন, সৌরভ, রাহুল দ্রাবিড়, মহেন্দ্র সিং ধোনি ও বিরাট কোহলির পর সপ্তম ভারতীয় হিসেবে ৯০০০ ক্লাবের সদস্য হলেন ৩২ বছরের ক্রিকেটার।

নির্ণায়ক একদিনের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে নয় উইকেটে ২৮৬ তুলেছিল অস্ট্রেলিয়া। ফলে, সিরিজ ২-১ করতে বিরাট কোহালির দলকে করতে হত ২৮৭ রান। তবে রান তাড়া করতে নামার আগেই ছিল দুঃসংবাদ। ফিল্ডিং করার সময় চোট পেয়েছিলেন শিখর ধওয়ন। এক্সরে করতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁকে। তিনি ব্যাট করতে নামলেন না ওপেনিংয়ে।

 

তাই শুরুতে রোহিত শর্মার সঙ্গী হয়েছিলেন লোকেশ রাহুল। রাজকোটে আগের ম্যাচেই যিনি পাঁচ নম্বরে নেমে ঝড় তুলেছিলেন। বেঙ্গালুরুতে এদিন অবশ্য বেশি ক্ষণ টিকলেন না। ২৭ বলে ১৯ করে অ্যাশটন অ্যাগারের বলে হলেন এলবিডব্লিউ। রিভিউ নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। তাতেই এল উইকেট। অস্ট্রেলিয়া থামল ২৮৬ রানে। মহম্মদ শামি ৬৩ রান দিয়ে নিলেন চার উইকেট। ডেথ ওভারে নিয়মিত দিলেন ইয়র্কার। কোনও উইকেট না পেলেও ১০ ওভারে জশপ্রীত বুমরা দিলেন মাত্র ৩৮।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: