পেন্ডুলামের মতো দুলছিল ভারত-নিউজিল্যান্ড টি টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ। ২০ ওভারে ভারত তোলে পাঁচ উইকেটে ১৭৯ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে কিউয়িরা থেমে যায় ১৭৯ রানে। ভারতকে ম্যাচে ফেরান মহম্মদ শামি। শেষ ওভারটা দুর্দান্ত করেন তিনি। শেষ বলে রস টেলরকে তিনি আউট করায় ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে।

 

ওপেনার হিসেবে তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটে দশ হাজার রান করার দিনে রোহিত শর্মা সিরিজ জেতালেন ভারতকে। এর আগে কোনওদিন সুপার ওভারে ব্যাট করেননি ‘হিটম্যান’। তাই বুধবার হ্যামিল্টনে সুপার ওভারে ব্যাট হাতে নেমে কী করবেন, তাও আগে থেকে ঠিক করতে পারেননি। দিনান্তে রোহিতই নায়ক। শেষ দু’ বলে দুটো বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে রোহিত ম্যাচ জিতিয়ে দেন ভারতকে। ‘টিম ইন্ডিয়া’ও পাঁচ ম্যাচের টি টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নেয় ৩-০-এ। 

 

সেখানেও নাটক। বিরাট কোহালি বল তুলে দেন যশপ্রীত বুমরার হাতে। বুমরার ওভার থেকে কিউয়ি ব্যাটসম্যানরা নেন ১৭ রান। ব্যাট করতে নেমে রোহিত শুরু থেকে টপ গিয়ারে ব্যাট করতে পারেননি। রোহিতের ব্যাটিং তো এরকমই। শুরুটা ঢিলেঢালা ভাবে করেন। কিন্তু ম্যাচ যত গড়াতে ততই রোহিত ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন।

 

পার ওভারের শেষ দু’ বলে জেতার জন্য ভারতের দরকার ছিল দশ রান। ‘টিম ইন্ডিয়া’র সাপোর্টাররা বুঝতে পারছেন না ম্যাচ কোন দিকে গড়াবে। সাউদির পঞ্চম ও ষষ্ঠ বলে রোহিত দুটো বিশাল ছক্কা হাঁকান। খেলার শেষে ম্যাচের সেরা রোহিত বলেন, ‘‘সুপার ওভারে এর আগে আমি কোনওদিন ব্যাট করিনি। তাই কীভাবে খেলব সেটা ঠিক করে উঠতে পারিনি। প্রথম বল থেকেই চালাবো না কি সিঙ্গল নেব সেটা বুঝতে পারিনি। দোনামনায় ছিলাম শুরুর দিকে।’’ কিন্তু দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় জ্বলে ওঠেন রোহিত।

রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জেতানোর দিনেও অবশ্য আফশোস যাচ্ছে না রোহিতের। ওপেন করতে নেমে ৪০ বলে ৬৫ রান করেন তিনি। ক্রিজ কামড়ে পড়ে থাকলে আজকের ম্যাচ হয়তো সুপার ওভারেও গড়াত না। রোহিতই হয়তো কিউয়িদের সামনে পাহাড়প্রমাণ রানের পাঁচিল তুলে দিতেন। ভারতের ওপেনার বলছিলেন, ‘‘আমাদের পারফরম্যান্স ভালই। তবে যেভাবে আমি আউট হয়ে গিয়েছিলাম, তাতে হতাশ। আমি আরও কিছুক্ষণ উইকেটে থাকতেই পারতাম।’’

তিনি হতাশ হতে পারেন। কিন্তু রোহিতের জন্য হাসছেন বিরাট কোহালি, হাসছে গোটা দেশ। তিনি যে ‘হিটম্যান’ তা আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন হ্যামিল্টনের মাঠে।

 

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: