প্রথম ইনিংসে রোহিত শর্মা ও মায়াঙ্কা আগারওয়ালের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ৫০২ রান করে ডিক্লিয়ার ঘোষণা করেছিল ভারত। জবাবে ব্যাট করতে নেমে কড়া প্রতিরোধ করেন ডিন এলগার (১৬৬) ও কুইন ডি কক (১১১)। লড়াই চালায় টেলেন্ডাররাও। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস শেষ হয় ৪৩১ রানে। প্রত্যাবর্তন ম্যাচে জ্বলে ওঠেন রবিচন্দন অশ্বিন। একাই নেন সাত উইকেট। ৭১ রানের লিড নিয়ে খেলতে নামে ভারত।

দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই মায়াঙ্ক আগারওয়ালের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ভারত। তারপর হাল ধরেন রোহিত শর্মা ও চেতেশ্বর পূজারা। প্রথমে ধীর গতিতে খেললেও বিরতির পরই জ্বলে ওঠেন পূজারা। রোহতি শর্মা নিজের ছন্দে খেলতে থাকেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ১২৭ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন হিটম্যান। পরপর দুই ইনিংসে শতরান করায় সুনীল গাভাস্কারকে স্পর্শ করলেন তিনি। এই রেকর্ড বিরাট কোহলিরও আছে। এরপর জাদেজা, কোহলি এবং আজিঙ্কে রাহানে দ্রুত গতিতে রান তুলতে থাকেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ৩২৫ রানে লক্ষ্য দিয়ে ইনিংস ডিক্লিয়ার করেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। চতুর্থ ইনিংস যা এককথায় পাহাড় ডিঙোনর সমান। চতুর্থ দিন্ই ব্যাট করতে নেমে ১১ রানে এক উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। পঞ্চম তথা শেষ দিন মাকরান ছাড়া সেই অর্থে কেউ দাঁড়াতেই পারেনি। শামিং রিভার্স স্যুইংয়ে কার্যত দিশেহারা লাগে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের। যদিও লড়াই দেয় টেলেন্ডাররা। কিন্তু শেষ রক্ষা করা যায়নি। ১৯১ রানে শেষ হয় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। ভারত যেতে ২০৩ রানে। শামি নেন পাঁচ উইকেট, জাদেজা নেন চার উইকেট এবং অশ্বিন নেন এক উইকেট। তিন ম্যাচের সিরিজে প্রথম ম্যাচ জিতে সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেল ভারত।


మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: