তামিলনাড়ু এক মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে । পড়াশোনা শেষ করে এলআইসি অফিসের সামান্য কেরানির চাকরি দিয়ে জীবন শুরু করেছিলেন । কিন্ত তা যেন মন থেকে মেনে নিতে পারছিলেন না বিজয় কুমার । হঠাৎ করে নিজেকে কৃষ্ণের দশম অবতার বলে ঘোষণা করে দিলেন । কাজ শুরু হয়ে গেল রাতারাতি ধনী লোকে পরিণত হয়ে গেলেন । শুধু তাই  নয় ,কৃষ্ণের দশম অবতার কল্কি ভগবান এখন আয়কর ফাঁকি দেওয়ার দায়ে অভিযুক্ত ।
আয়কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে সেই ‘কল্কি’-র দেশের নানা আশ্রমেই এ বার হানা দিলেন আয়কর দফতরের অফিসারেরা। উদ্ধার হয়েছে হিসাব বহির্ভূত নগদ ৯৩ কোটি টাকা। সঙ্গে সোনা, হিরে মিলিয়ে ৪০৯ কোটি টাকার সম্পত্তি।
আশির দশকের মাঝামাঝি তিনি চাকরি ছেড়ে তামিলনাড়ুর চিত্তুরে একটি স্কুল খোলেন। নাম দেন ‘জিবাশ্রম’। তাঁর শিষ্যদের আধ্যাত্মিক পাঠ দিতেন তিনি। ক্রমে তাঁর শিষ্যের সংখ্যা বাড়তে থাকে। চিত্তুরে তিনি ‘ওয়াননেস’ নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ও খুলে ফেলেন। প্রচুর সেলিব্রিটি এবং বড় ব্যবসায়ীও তাঁর শিষ্য হয়ে যান।
নব্বইয়ে দশকে তিনি নিজেকে কৃষ্ণের দশম অবতার ‘কল্কি’ হিসাবে ঘোষণা করেন। অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্নাটকে তাঁর প্রচুর আশ্রম রয়েছে। এ ছাড়া বিদেশেও তাঁর যাতায়াত রয়েছে। বিদেশে অনেক জায়গায় গিয়ে তিনি নিজের মতবাদ প্রচার করে এসেছেন। দেশ-বিদেশে তাঁর যাবতীয় আশ্রমের অ্যাকাউন্ট দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন স্ত্রী পদ্মাবতী এবং ছেলে এনকেভি কৃষ্ণ।
আয়কর দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর প্রতিটা আশ্রমেরই হিসাব বহির্ভূত আয় রয়েছে। সেই আয় সরকারের থেকে গোপন রাখা হত। এই তথ্য হাতে পাওয়ার পরই ১৬ অক্টোবর থেকে বিভিন্ন আশ্রমে তল্লাশি শুরু করেন আয়কর অফিসারেরা।
সূত্রের খবর, তাঁর আশ্রমে ১৮ কোটি টাকার মূল্যের নগদ মার্কিন ডলার উদ্ধার হয়েছে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৮৮ কেজি সোনা, যার মূল্য ২৬ কোটি টাকা এবং ১ হাজার ২৭১ ক্যারাটের হিরে। সব মিলিয়ে মোট ৫০০ কোটি টাকারও বেশি হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছেন আয়কর অফিসারেরা।
জানা গেছে কল্কি ভগবানের স্ত্রী পদম মা বা পদ্মাবতীর সঙ্গে দেখা করতে হলে ভক্তদের ৫ হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কাটতে হয় । তাহলে কল্কি ভগবান ওরফে বিজয় কুমারের সঙ্গে দেখা করতে গেলে কত টাকা দিতে হত ?


మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: