সুপ্রিম কোর্টের রায়ে রাম মন্দির নির্মাণের অনুমতি পেয়েছে আরএসএস এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদ । ৮০ দশক থেকে রাম মন্দির আন্দোলনকে ভারতের কোনায় কোনায় পৌছে দিয়েছিল আরএসএস ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ । তবে তারা একই সঙ্গে বলত ‘অযোধ্যা তো বাস ঝাঁকি হ্যায়, কাশী মথুরা বাকি হ্যায়।’ এবার কী তাহলে তাদের নজরে কাশী মথুরা? সংঘ পরিবারের এক নেতার কথায় জানা গেল আপাতত এই ধরণের কোনও পরিকল্পনা নেই তাদের।
রায়ের বের হওয়ার পর আরএসএসের লক্ষ্য কী হবে, সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে ভাগবত বলেন, “এখন আমাদের লক্ষ্য হবে অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণ। আমরা রাম মন্দির বানাব অযোধ্যায়। আর সেটা সকলকে নিয়েই আমাদের করতে হবে।’’ মথুরা ও বারাণসীর মসজিদের জায়গাতে মন্দির তৈরির বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে ভাগবত–ও সাফ জানিয়ে দেন, ‘এরকম কোনও পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি নেই সংঘর। এখন একমাত্র কাজ মন্দির নির্মাণ করা। সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের মধ্যে দিয়ে দেশের সমস্ত মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসকে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এজন্য রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানাচ্ছে।’ মামলার নিষ্পত্তির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কয়েক দশক ধরে এই মামলাটা চলছিল। আমি মনে করি আদালত সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এটা কারোর জিত বা হার না। আমরা সবাইকে শান্তি বজায় রাখার জন্য অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
আরএসএসের এক শীর্ষ পদাধিকারীর মতে, ‘কাশী মথুরা এখন পরিকল্পনার অন্তর্ভূক্ত নয়। প্রত্যেক ভারতবাসীর সহায়তায় আমরা দ্রুত রাম মন্দির নির্মাণ করতে চাইছি।’ সোমনাথ মন্দিরের তুলনা টেনে তিনি বলেন, ‘মন্দির তৈরিতেই আগামী কয়েক বছর সময় লাগবে। মানুষের ইচ্ছে দ্রুত মন্দির গঠন। তাই অন্য কোনও ইস্যু এখন আগ্রাধিকারের তালিকায় নেই।’
তবে মনে করা হচ্ছে আরএসএস বা বিশ্ব হিন্দু পরিষদ যাই বলুক না কেন তারা একটু সময় নিচ্ছে । কারণ রাম মন্দির করতে কমপক্ষে ৫/১০ বছর লাগবে । আর রাম মন্দিরের মত জনমত তৈরি করা এখনই সম্ভব নয় । তাই সব দিক বিবেচনা করে হিন্দুত্ববাদীরা এখনই কাশী-মথুরা নিয়ে মাতামাতি করবে না , তবে ভবিষ্যতে তা করার সম্ভাবনা প্রবল রয়েছে ।


మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: