এই নিয়ে চার দিনে চার জনের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেল। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি গত ১৬ মার্চ থেকে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তিনি দমদমের বাসিন্দা। ৫৭ বছরের ওই ব্যক্তির লালারসের নমুনা আগেই পাঠানো হয়েছিল এসএসকেএম হাসপাতাল এবং নাইসেডে। দু’টি জায়গার পরীক্ষাতে আলাদা আলাদা রিপোর্ট আসে। তার পর ফের নাইসেডে পাঠানো হয় লালরস। তার পরেই জানা যায়, ওই ব্যক্তি কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

 

গত ১৩ মার্চ থেকে তাঁর জ্বর-সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ দেখা যায়। এর পর গত ১৬ তারিখে ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছিলেন তিনি। তাঁকে ভেন্টিলেটর এবং একমো সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। নাইসেড এবং এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হলে, দু’রকম রিপোর্ট পাওয়া যায়। এই পরিস্থিতিতে এ দিন ফের তাঁর লালারসের নমুনা পাঠানো হয় নাইসেডে। রাতে রিপোর্ট আসার পর জানা যায়, ওই ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।

 

যদিও স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক অতীতে ওই ব্যক্তির বিদেশ যাওয়ার কোনও ইতিহাস নেই। কী ভাবে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন, তা খতিয়ে দেখছেন স্বাস্থ্য কর্তারা। তাঁর পরিবারের কেউ বিদেশে গিয়েছিলেন কি না, অথবা বাইরে কারও সংস্পর্শে এসেছিলেন কিনা তা-ও জানার চেষ্টা হচ্ছে। তাঁর পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়রাইন্টিনে রাখা হবে। স্বাস্থ্য দফতরের একটি দল দমদমে ওই ব্যক্তির বাড়িতে যাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

 

এর আগে যে তিনজনের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে তাঁদের মধ্যে  দু’জন ইংল্যান্ড ফেরত পড়ুয়া। এক জন স্কটল্যান্ডফেরত তরুণী। প্রত্যেকেই বিদেশ থেকে ফেরায় তাঁরা করোনাভাইরাসের বাহক বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু চতুর্থ জন, বয়সে অনেকটা প্রবীণ। ওই ব্যক্তি আক্রান্ত হওয়ায় চিন্তায় স্বাস্থ্য দফতর।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: