সোমবার সকালে তিন বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হয় । কিন্ত সেই শান্তি বেশিক্ষণ ছিল না । বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই উপনির্বাচন ঘিরে বেড়েছে উত্তেজনা। দিন যত গড়িয়েছে বিরোধীদের উপর আক্রমণের অভিযোগ ক্রমেই বাড়ছে।
সকাল থেকেই শাসকদল আক্রমণ করছে বলে অভিযোগ জানিয়েছিল বিজেপি। এবার করিমপুরের পিপুলখোলাতে বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারকে ভোটকেন্দ্রের সামনেই শারীরিক নিগ্রহ করা হল। সকাল থেকেই বুথ কেন্দ্রে ঢুকতে গিয়ে বারবার বাধা পেয়েছিলেন করিমপুরের বিজেপি প্রার্থী । বেলা ১০টা ৪০ নাগাদ বুথ কেন্দ্র থেকে ঢিল ছোঁড়া দুরত্বে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বেশ কয়েকজন ব্যক্তি।
ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে গেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং পুলিশের উপস্থিতিতেই তার উপরে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। প্রথমে তাঁকে প্রবল কিল, চড়, ঘুসি মারা হয়। এরপরেই দুষ্কৃতীরা লাথি মেরে তাঁকে ঝোপে ফেলে দেয়। ক্যামেরায় এই ছবি ধরা পড়ার পর থেকেই শাসকদলের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিরোধীরা। প্রকাশ্যে জনসমক্ষে এই ধরনের হেনস্থার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। এই হামলার পরে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘করিমপুরে আমাদের প্রার্থীকে হেনস্থার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই ধরনের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানাব। আসলে ওই কেন্দ্রে অস্তিত্ব রক্ষার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে তৃণমূল। এই ধরনের নৈরাজ্যের জবাব মানুষ ভোটে দেবে। ‘
বুথকেন্দ্রে ঢুকতে গিয়ে এমন আকস্মিক হামলার মুখে পড়ে বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘আমার এই আঘাত তো ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু, গণতন্ত্রের উপর মমতা সরকারের এই ধরনের আঘাত কতদিন চলবে?’
জয়প্রকাশ মজুমদারের উপর এই হামলার পরেই অভিযোগের তির শাসক দল তৃণমূলের দিকে। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মিত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘আমি এই প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করব না। বিজেপির কোনও নেতাদের সঙ্গে আমি এই বিষয়ে কথা বলতে নারাজ।’ এ বিষয়ে করিমপুরে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিমলেন্দু সিংহ রায় বলেন, ‘ভোট মোটামুটি শান্তিপূর্ণ। বিজেপি নাটক করে অশান্তির চেষ্টা করছে। ‘
তবে কারা এই ঘটনার পিছনে রয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে এই নিয়ে ইতিমধ্যেই নির্বাচনী কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি। এই ঘটনার প্রতিবাদে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপির প্রতিনিধি দল। এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে রিপোর্ট পেশ করতে বলেছে কমিশন। এর সঙ্গেই কেন্দ্রের নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: