এই বিলে দেশের মুসলিমদের কোনও ক্ষতি হবে না। তাঁরা এদেশের নাগরিক ছিলেন এবং থাকবেন। এনিয়ে দেশের একজন মুসলিমেরও শঙ্কার কোনও কারণ নেই। এনিয়ে যা রটানো হচ্ছে তা ঠিক নয়। মোদী সরকারের নেতৃত্বে এদেশের মুসলিমরা নিরাপদ। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে বিশ্বের সব দেশের মুসলিমদের এদেশে আশ্রয় দিতে হবে। কোথা থেকে দেব! কীভাবে চলবে দেশ!

 

 

রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পেশ করে ঠিক একথাই বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, এই বিলটি আনা হয়েছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের ধর্মীয় কারণে অত্যাচরিত সংখ্যালঘুদের জন্য। এদের সঙ্গে মুসিলমদের কোনও সম্পর্ক নেই।

 

অন্যদিকে, রাজ্যসভার মোট আসন ২৪৫। বর্তমানে সাংসদ রয়েছেন ২৪০ জন। রাজ্যসভায় এই মুহূর্তে বিজেপির সাংসদ-সংখ্যা ৮১। আর সব মিলিয়ে এই বিলের পক্ষে সাংসদ আছেন ১২৮ জন। যা সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে মাত্র সাত জন বেশি। অন্যদিকে, বিরোধীদের পক্ষে রয়েছে ১০৯ ভোট। তবে, এ দিন সংসদের উচ্চকক্ষে ৪ সাংসদ অনুপস্থিত। ফলে, ম্যাজিক ফিগার কিছুটা নেমে 119 হয়েছে।

 

প্রসঙ্গত, গত সোমবার দীর্ঘ আলোচনার পর শেষ পর্যন্ত মধ্য রাতে লোকসভায় পাস হয় ‘নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল’ (Citizenships Amendment Bill -CAB) । বিলের পক্ষে ৩১১ ভোট, বিলের বিপক্ষে ৮০টি ভোট পড়েছিল।

 

প্রত্যাশামতোই সোমবার লোকসভায় ‘নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল’ (Citizenship Amendment Bill - CAB) পেশ হতেই তুমুল হট্টগোল শুরু হয়ে গিয়েছিল। বিরোধীতা চরমে উঠেছিল। তারপর পেশ করা নিয়ে শুরু হয়েছিল ভোটাভুটি। সেখানে বিল পেশ করার পক্ষে ভোট ২৯৩টি এবং বিপক্ষে ভোট পড়েছিল ৮২টি। তারপর বিলটি পড়তে শুরু করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Home Minister) অমিত শাহ। বিলের একাধিক অংশ নিয়ে আপত্তি তুলেছিল কংগ্রেস (Congress)-সহ বিরোধীরা। বিলটি 'অসাংবিধানিক' বলে সরব হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসও (TMC)। বিল ঘিরে হইচইয়ের মধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে 'হিটলারে'র সঙ্গে তুলনা করেছিলেন হায়দরাবাদের সাংসদ আসাউদ্দিন ওয়েইসি। পালটা হইচই জুড়ে দেন বিজেপি (BJP) সাংসদরাও। কিন্তু বিরোধীদের দাবি মানতে নারাজ ছিল সরকার। যুক্তি দিয়ে বিরোধীদের দাবি খণ্ডন করেছিলেন অমিত শাহ।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: