নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মুখ থুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিরোধীদের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, মিথ্যা প্রচার হচ্ছে। নিরীড়িত মানুষদের জন্যেই এই আইন। রামলীলা ময়দানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শোষিত, নিপীড়িত মানুষদের জন্য এই বিল পাস করিয়েছে লোকসভা ও রাজ্যসভা। গণতন্ত্রের এই মন্দিরকে দাঁড়িয়ে সম্মান করুন। যাঁরা এই বিল পাস করিয়েছেন তাঁদের সম্মান করুন। কিন্তু এনিয়ে মিথ্যে প্রচার করছে বিরোধীরা।

 

অন্যদিকে, বর্তমান পরিস্থিতিতে বাইরে থেকে রাজনীতিকরা এলে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা যোগী সরকারের। তাই তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে বিমানবন্দর থেকেই ফেরানো হতে পারে রাজ্য প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। রাজ্যের DGP OP Singh সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন,‘‘তৃণমূল-কংগ্রেসের কিছু নেতা এখানে আসতে চাইছেন বলে জানতে পেরেছি। এই মুহূর্তে 144 ধারা জারি রয়েছে এখানে। ওই নেতাদের আগমনে উত্তেজনা বাড়তে পারে। তাই ওঁদের অনুমতি দেওয়া হবে না।’’

 

নাগরিকত্ব সংশোধন আইন নিয়ে কার্যত জ্বলছে উত্তরপ্রদেশ। গত বৃহস্পতিবার থেকে তা ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। বিক্ষোভকারীদেক ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ এবং গুলি চালিয়েছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আদিত্যনাথ যোগীর মন্তব্যে তীব্র নিন্দা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশ জুড়ে অগ্নিগর্ভ আন্দোলন প্রতিরোধে গুলি চালিয়ে মারার যে নিদান দিয়েছেন, তার কড়া সমালোচনাও করেন তিনি। মমতা বলেছিলেন, ‘‘এটা কোনও সিএম (মুখ্যমন্ত্রী)-এর বক্তব্য হতে পারে! ওঁকে সিএম বলতেও শেম (লজ্জা) লাগে!’’ আবার পুলিশকে পাল্টা দিতে পুলিশের গাড়ি পর্যন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পুরো ঘটনায় শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত এক নাবালক সহ ১৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এবার মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দীনেশ ত্রিবেদীর নেতৃত্বে তার সদস্যের প্রতিনিধি দল উত্তরপ্রদেশ পাঠাচ্ছে তৃণমূল। শনিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তীতে একথা জানানো হয়েছিল।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: