সমস্যা কখনও এড়িয়ে যাই না, আর পুষেও রাখি না। তিল তালাক প্রসঙ্গে এভাবেই ক্ষুরধার বক্তব্য রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিন তালাক বিল পাশ করিয়ে এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার। সেই সিদ্ধান্তকেই আজ স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, এই তিন তালাক নিয়ে মুসলিম মহিলারা যে ভয়ের মধ্যে থাকত সেই ভয় থেকে যে মুক্তি মিলেছে সে কথাও জানান তিনি। উদাহরণ হিসাবে তিনি বলেন, সতী দাহ প্রথা বা পণ প্রথার যদি বিলোপ ঘটাতে পারি, তাহলে তিন তালাক কেন হবে না ? মুসলিম মহিলাদের রক্ষা করতেই এই আইন আনা হয়েছে বলে তিনি জানান। এটা কোনও রাজনীতি নয়, সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছি বলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানান।

 

উল্লেখ্য, তিনি বারবারই বলেছেন, দেশের মানুষ তথা দেশবাসী তাঁকে যে কাজ দিয়েছেন সেই কাজই তিনি করছেন। এমনকি দেশবাসী তাঁকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন সেই দায়িত্বই তিনি অক্ষরে অক্ষরে পালন করছেন। স্বাধীনতা দিবসের দিন তিনি লালকেল্লা থেকে হুঙ্কার ছেড়ে রাখলেন, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় সারা দেশ এক হয়ে লড়ছে, কোনও ভাবে কোনও পরিস্থিতিতে সন্ত্রাসবাদকে মদত দেওয়া চলবে না। এককথায় ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মোদী সরকার সন্ত্রাসবাদ দমনে একের পর এক পন্তা অবলম্বন করেছে। তবে আজকে লালকেল্লা থেকে যে চমক তিনি দিলেন, তা কিন্তু ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধের পর এর গুরুত্ব অনুভূত হয়েছিল। দেশের প্রতিটি সামরিক বিভাগ পরিচালনা ভার এক জন সিঙ্গল পয়েন্ট অফিসারকে দেওয়া হোক। দেশের নিরাপত্তায় ফাঁকফোঁকড় কোথায় আছে তা খুঁজতে যে কমিটি গঠন হয়েছিল সেই কমিটি থেকেই এই পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। পরে ২০১২ সালে নরেশ চন্দ্র টাস্ক ফোর্স থেকে চিফ অফ স্টাফ কমিটির এক জন চেয়ারম্যান চাই বলে দাবি জানানো হয়েছিল। সেই সমস্ত পরামর্শকে মান্যতা দিয়েই এদিন লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ পদটির।

 


మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: