মঙ্গলবার রাজ্য বিজেপি দফতরে সংবর্ধনা দেওয়া হয় শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে এই সংবর্ধনা নিয়ে গণ্ডগোল বাঁধে সকালে। জানা যায় তালিকায় নাম নেই বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এরপরই শুরু হয় বিতর্ক। ক্ষুব্ধ হন বৈশাখী। পরে অবশ্য বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুনরায় জানানো হয়। তারপর বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আমি যাব। কিন্তু এ নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান,  ‘‘আমি আসতে বলেছি সবাইকে। সবার তো নাম দিই না আমরা। শোভনদা মেয়র ছিলেন, এখনও বিধায়ক আছেন। তাই তাঁর নাম দেওয়া হয়েছে। তবে, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও দেওয়া উচিত ছিল।’’ এর পরেই তাঁকে হাসি মুখে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমরা জানি, যেমন ভাত-ডাল, সে রকম শোভনদা আর বৈশাখীদি। আলাদা করে বলার কী আছে!’’

 

এরপরই প্রশ্ন তোলেন বৈশাখী। বলেন, ‘‘আমি বুঝিনি উনি কী বলেছেন। যদি দু’জনের এক জনকে ভাত আর এক জনকে ডাল বলে থাকেন, তা হলে কে ভাত আর কে ডাল, সেটাই প্রশ্ন? যদি শোভনবাবুকে ভাত বলে থাকেন, আর আমাকে ডাল অর্থাৎ আমি ওঁর সঙ্গে ডাল হয়ে মিশে গিয়েছি, সেটা ঠিক না। আমার নিজের একটা আইডেন্টিটি আছে। আর যদি আমাকে বাত আর শোভনবাবুকে ডাল বলে থাকেন, তা হলে বলব, আমার ঘাড়ে সেই জোর নেই যে, ওঁর মতো এক জন নেতাকে বহন করতে পারব!’’

 

প্রসঙ্গত, জল্পনা চলছিল, আর সেই জল্পনার অবসান হয়েছে স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন ১৪ অগাস্ট। ওই দিন দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিতে যোগ দিয়েই তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। সেই সঙ্গে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে বিষ্ফোরক অভিযোগ করেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। এরপরই হামলার আশঙ্কায় শোভন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা আবেদন জানায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে। সেই আবেদন মঞ্জুর করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তিনি এখন ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পাবেন। উল্লেখ্য, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই শোভনের নিরাপত্তা কমিয়ে দেয় রাজ্য। তুলে নেওয়া হয় কলকাতা পুলিশের ৬ নিরাপত্তারক্ষীকে।

 


 


మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: