গত শুক্রবার গ্রেফতারির উপর স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ার পরই রাজীব কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়েছিল সিবিআই। সেই কারণে আদালতের রায়ের পরই ৩৪ পার্কস্ট্রিটের বাড়িতে গিয়ে নোটিশ দিয়েছিল সিবিআই। বলা ছিল, পরের দিন অর্থাত শনিবার সকালে সিবিআই দফতরে যেতে হবে রাজীব কুমারকে। কিন্তু যাননি তিনি। তারপরই সেদিন বিকেলে আইনজীবীর পরামর্শ নেয় সিবিআই। 
রবিবার নবান্নে গিয়ে রাজীব কুমারের বিষয় জানতে রাজ্য পুলিশের ডিজি, মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিবকে চিঠি দিতে যান সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। কিন্তু সেদিন ছুটির দিন থাকায় শুধুমাত্র রাজ্য পুলিশের ডিজির দফতরে চিঠি দিতে পেরেছিলেন। সোমবার নবান্নে গিয়ে মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিবকে চিঠি দেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা।
এরপর রাজীব কুমারকে খুঁজে ১২ সদস্যের সিট গঠন করে সিবিআই। দিল্লি থেকে সেন অফিসাররা। এরপর বৃহস্পতিবার তন্ন তন্ন করে খোঁজা শুরু করেন সিবিআই অফিসাররা। সূত্রের খবর, এরপর ১৬০ সিআরপিসিতে রাজীব কুমারকে চিঠি দেয় সিবিআই। 

কিন্তু এদিন আলিপুর আদালতে রাজীবের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদন জানাতে গিয়ে দাউদ ইব্রাহিমের তুলনা টেনে আনল সিবিআই। এদিন আদালত প্রশ্ন করে, কেন জামিন অযোগ্য পরোয়ানা চাইছে সিবিআই? আদালতের প্রশ্নের উত্তরে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান যে, সারদা মামলায় রাজীব কুমারকে জেরা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অথচ তাঁকে সমন করলে তিনি বার বার এড়িয়ে যাচ্ছেন। তিনি তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। কখনও আইনশৃঙ্খলার ‘অজুহাত’, কখনও বা তাঁর পদের গুরুত্বের প্রসঙ্গ টেনে রাজীব কুমার এড়িয়ে যাচ্ছেন সিবিআইয়ের জেরা।


మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: